Posts

Showing posts with the label বাংলা রহস্য ও ভৌতিক গল্প

কালচক্র: একটি তান্ত্রিক রহস্য

Image
  প্রথম পর্ব: অন্ধকারের আহ্বান    IN ENGLISH  অধ্যায় ১: রহস্যময় চিঠি Link হিমাংশু রায়ের জীবন একদম সাধারণ ছিল—একটা ছোট্ট বুকশপ চালাতো কলকাতার এক কোণে, দিন কাটত গ্রাহক আর বইয়ের মধ্যে। কিন্তু ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ভয়ংকর এক বর্ষার রাতে, সব বদলে গেল। দোকান বন্ধ করার ঠিক আগে, এক অচেনা লোক এসে হিমাংশুর হাতে একটা পুরনো কাগজের খাম গুঁজে দিল। লোকটির মুখ অদ্ভুতভাবে ঢাকা, শুধু চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছিল। "এটা শুধু তোমার জন্য," বলেই সে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। খামের ভেতরে ছিল এক পীতবর্ণের কাগজ, যাতে লাল কালিতে লেখা: "যে জানে না, সে বাঁচে। যে জানে, সে মরে। তুমি কি কালচক্রের সন্ধান নেবে?" — নিশাচর হিমাংশুর গা শিউরে উঠল। কাগজের নিচে ছিল একটা মানচিত্র, কলকাতার এক অজানা গলির দিকে নির্দেশ করছে, যার নাম  "যোগিনী গলি" । অধ্যায় ২: যোগিনী গলির রহস্য পরের দিন বিকেলে, হিমাংশু মানচিত্র অনুসরণ করে এক অন্ধকার গলিতে পৌঁছাল। গলিটা ছিল অদ্ভুত—দেয়ালে অজানা মন্ত্র, উল্টো স্বস্তিক চিহ্ন আর রক্তের দাগের মতো লাল ফোঁটা। শেষপ্রান্তে একটা পুরনো বাড়ি, যার দরজায় খোদাই করা: "স্বাগতম, সন্ধানকারী।...

ভানগড় দুর্গের ইতিহাস (History of Bhangarh Fort)

Image
  ভানগড় দুর্গ (Bhangarh Fort)   হল ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আলওয়ার জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ও রহস্যময় কেল্লা। এটি   আরাবল্লী পর্বতমালার   কাছে অবস্থিত এবং   ভানগড় শহরের   ধ্বংসাবশেষের অংশ। এই দুর্গটি তার   অতিপ্রাকৃতিক কাহিনী   ও   ইতিহাসের   জন্য বিখ্যাত। 🔹 ভানগড় দুর্গের ইতিহাস ( History of Bhangarh Fort ) স্থাপত্য:  রাজস্থানের সাধারণ রাজপুত স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। নির্মাণকাল:  ১৬১৩ সালে  রাজা মাধো সিংহ  (আম্বরের রাজা মান সিংহের ছোট ভাই) দ্বারা নির্মিত। উদ্দেশ্য:  এটি মূলত একটি সমৃদ্ধ শহর ছিল, যেখানে প্রায়  ১০,০০০ মানুষ  বসবাস করত। পতন:  কিংবদন্তি অনুসারে, ১৭৮৩ সালে একটি যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষের কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়। 🔹 ভানগড় দুর্গের রহস্য ও কিংবদন্তি (Mysteries & Legends) ভানগড় দুর্গকে  "ভারতের সবচেয়ে ভৌতিক স্থান"  বলা হয়। স্থানীয় লোককথা ও কিংবদন্তি অনুসারে: 1. সন্ন্যাসীর অভিশাপ (The Curse of the Sadhu) কিংবদন্তি বলে, এক সন্ন্যাসী ( গুরু বালু নাথ ) এই জমিতে তপস্যা করতে...

অন্ধকারের ডাক

Image
  মধ্যরাত। ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেছে ছোট গ্রামটি। পূর্ণিমার চাঁদও আজ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছে, যেন ভয় পেয়ে গেছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে অদ্ভুত এক শিসের শব্দ—কোনো মানুষের না, যেন কোনো অদৃশ্য সত্ত্বা ডাকছে। রহিমা খাতুন তার ছোট কুঁড়েঘরের দরজা বন্ধ করে দিলেন। আজ সারাদিন তার মনটা অস্থির ছিল। সন্ধ্যা নামতেই গ্রামের কুকুরগুলো একসাথে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে, যেন কোনো অশুভ শক্তির আগমন বার্তা দিচ্ছে। "মা, আজকে আমার ভয় করছে," রহিমার ছোট মেয়ে সুমি কাঁপতে কাঁপতে বলল। "কিছু না, শুধু বাতাসের শব্দ," রহিমা মেয়েকে সান্ত্বনা দিলেন, কিন্তু নিজের মনেও শান্তি নেই। গ্রামের বাইরে, পুরনো কবরস্থানের পাশ দিয়ে চলে গেছে একটা সংকীর্ণ পথ। স্থানীয়রা এই পথে রাতের বেলা কখনোই যায় না। কথিত আছে, এই পথে কেউ গেলে অদৃশ্য হাত তাকে টেনে নিয়ে যায়। রাত যত গভীর হচ্ছিল, রহিমার বাড়ির চারপাশে ততই অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসতে লাগল। কখনো মনে হচ্ছিল কেউ দরজায় খোঁচা দিচ্ছে, কখনো জানালার কাচে নখের আঁচড়ের শব্দ। রহিমা কান পেতে শুনলেন—কেউ তার নাম ধরে ডাকছে! "রহিমা... রহিমা..." ঠোঁট শুকিয়ে গেল। এত রাতে কে ডাকবে তাকে? তিনি ধীরে ধীরে দর...